একটি এককোষী সুকেন্দ্রিক জীবের গণ, যারা মেরুদণ্ডী প্রাণী এবং কীটপতঙ্গের মধ্যে বাধ্যতামূলক পরজীবী হিসেবে বসবাস করে।প্লাজমোডিয়াম প্রজাতির জীবনচক্রের ক্রমবিকাশ সংঘটিত হয় একটি রক্ত-খেকো কীট পোষকের ভিতর, যা পরবর্তীতে রক্ত পান করার সময় অন্য একটি মেরুদণ্ডী প্রাণীতে পরজীবীগুলো ঢুকিয়ে দেয়। মেরুদণ্ডী প্রাণীর রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে লোহিত রক্তকণিকাগুলোকে সংক্রমিত করার আগে পরজীবীগুলো তার দেহ টিস্যুতে (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যকৃতে) বিকাশলাভ করে। পোষক দেহের লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে রোগ সৃষ্টি হতে পারে, যা ম্যালেরিয়া নামে পরিচিত। চলমান সংক্রমণের সময়, একটি রক্ত-খেকো কীট (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মশা) অসুস্থ প্রাণীটিকে কামড় দিলে কিছু পরজীবী কীটের ভেতর প্রবেশ করে এবং এর ফলে পরজীবীর জীবনচক্র অব্যাহত থাকে।Plasmodium গণের প্রায় ৬০টি প্রজাতি মানুষসহ বিভিন্ন মেরুদন্ডী প্রাণীতে এ রোগ সৃষ্টি করে। মানবদেহে এ পর্যন্ত রোগ সৃষ্টিকারী ৪টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।সাধারণত ৪ ধরনের পরজীবী এর আক্রমণে ম্যালেরিয়া হয়।
ম্যালেরিয়ার পরজীবীর নাম রোগের নাম জ্বরের প্রকৃতি
১. Plasmodium vivax →বিনাইন টারশিয়ান ম্যালেরিয়া→ 48 ঘন্টা পর পর জ্বর আসে
২. Plasmodium malariae →কোয়ারটার্ন ম্যালেরিয়া → 72 ঘন্টা পর পর জ্বর আসে
৩. Plasmodium ovale →মৃদু টারশিয়ান ম্যালেরিয়া→ 48 ঘন্টা পর পর জ্বর আসে
৪. Plasmodium falciparum→ ম্যালিগন্যান্ট টারশিয়ান ম্যালেরিয়া → 36-48 ঘন্টা পর পর জ্বর আসে।
ম্যালেরিয়া পরজীবীর শ্রেণিতাত্ত্বিক অবস্থান :
Kingdom: Protista
Subkingdom: Protozoa
Phylum: Apicomplexa
Class: Sporozoa
Order: Haemosporidia
Family: Plasmodiidae
Genus: Plasmodium
Species: Plasmodium vivax, P. ovale, P. falciparum, P. malariae
আরও দেখুন...